List of Best Hotels in Bangladesh
ঢাকার পরেই বাংলাদেশের বৃহত্তম এবং দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ নগরী হিসেবে চট্টগ্রামকে ধরা হয়। এই নগরীকে বাংলাদেশের বানিজ্যিক রাজধানীও বলা হয়ে থাকে। এই দুই শহরের মধ্যেকার যোগাযোগটাও তাই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবসা, চাকুরি, পড়াশোনা ইত্যাদি, সহ অন্যান্য বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রতিদিন প্রচুর লোক এই পথে যাতায়াত করে থাকেন। এছাড়া চট্টগ্রাম তথা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের পর্যটনের অনেক বড় একটা অংশ দখল করে থাকে। তাই দেশি বিদেশী অনেক ভ্রমণকারীকে এই রুটে চলাচল করতেই হয়। এজন্যে ঢাকা চট্টগ্রাম রুট বাংলাদেশের অন্যতম ব্যাস্ত একটি রুট।
একসময় ট্রেন এবং বাসই ছিল ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাবার একমাত্র উপায়। যাদের ব্যাক্তিগত গাড়ি আছে তারা গাড়ি ব্যাবহার করতেন। অন্যরা হয়তো গাড়ি ভাড়া করতেন। ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দূরত্ব ২৬৫ কিলোমিটার। হিসাবে যাতায়াতে তিন থেকে থেকে পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগার কথা। কিন্তু বাস্তবে জ্যামের কারণে অনেক বেশী সময় লেগে যায়।
যে পথেই যাওয়া হোক না কেন, গড়ে ৮-১০ ঘণ্টা সময় লেগেই যায়। আর যদি ট্রাফিক জ্যাম থাকে তাহলে সেটা বেড়ে ১২-১৫ ঘণ্টায় গিয়ে ঠেকে। ইদানিং কালে জ্যামের মাত্রা বেড়ে আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গাড়ি, বাস ও ট্রাকের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকার কারণে চার লেনের সড়কও খুব একটা ভূমিকা রাখতে পারতেছে না।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বিমান যাত্রাঃ আকাশপথের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা
তবে আনন্দের ব্যাপার হল সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে ঢাকা চট্টগ্রাম ভ্রমণে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। ট্রেন এবং বাসের পাশাপাশি আকাশপথও অনেক জনপ্রিয় হতে শুরু করেছে! হ্যা, আকাশ পথে ভ্রমণকে আমরা যতটা আকাশ কুসুম কল্পনা বলে মনে করি, বাস্তবে আসলে তা নয়। তাই বর্তমানে অনেক যাত্রী সড়ক পথের ঝামেলা এড়িয়ে আকাশপথ ভ্রমণে উৎসাহী হচ্ছেন। ঢাকা চট্টগ্রাম রুটের নিয়মিত যাত্রীদের জন্য আকাশপথ যেন অনেকটা আশীর্বাদের মত। অত্যন্ত দ্রুত আর সেই সাথে নিরাপদ এবং আরামদায়ক যাত্রার ক্ষেত্রে বিমান ভ্রমণের বিকল্প নেই। সড়ক পথে যেখানে এত দীর্ঘ সময় লেগে যায়, সেখানে আকাশ পথে আপনি মাত্র ৪০-৫০ মিনিটের মধ্যে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পৌছাতে পারেবেন!
স্বাধীনতার অল্প কিছুদিন পরেই ১৯৭২ সালের ৭ই মার্চ ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ফ্লাইটের মাধমেই বাংলাদেশ বিমানের যাত্রা শুরু হয়। কিন্তু বিমান স্বল্পতা, কারিগরি সমস্যা, দুর্নীতি সহ নানবিধ কারণে আভ্যান্তরিন পরিবহনে বিমান তেমন একটা জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি। ভাড়াও ছিল অনেক বেশী যা সাধারনের হাতের নাগালের বাইরে।
তবে ২০০৫ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে বেশ কিছু প্রাইভেট মালিকানাধীন বিমান সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে আছে নভোএয়ার, রিজেণ্ট এয়ারওয়েজ এবং ইউ এস বাংলা এয়ারলাইন্স। এই বিমান সংস্থাগুলো আভ্যান্তরিন ফ্লাইট পরিচালনার দিকে বিশেষ ভাবে নজর দেয়। তারা অপেক্ষাকৃত ছোট আকৃতির বিমান নিয়ে ব্যাবসা শুরু করে। এজন্যে তারা ফ্লাইট সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়। পাশাপাশি সময়মত ফ্লাইট পরিচালনা সহ যাত্রীসেবার মানও যথেষ্ট ভাল রাখতে সক্ষম হয়।
ভাল সার্ভিসের কারণে স্বাভাবিকভাবেই দেশীয় এই বিমান সংস্থা গুলো জনপ্রিয়তা পাওয়া শুরু করে। স্বভাবতই যাত্রী সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং বিমান কোম্পানি গুলোও লাভবান হয়। ফলস্বরূপ তারা গন্তব্যগুলোতে ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধি করে এবং ভাড়ার পরিমান তুলনামূলক ভাবে কমিয়ে আনে। এতে করে যাত্রী সাধারণ আকাশপথে ভ্রমণে আরও বেশী উৎসাহিত হয়।
বর্তমানে বাস এবং ট্রেনের পাশাপাশি বিমান পথও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পথ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ট্রাফিক জ্যাম এড়ানো, দ্রুত এবং আরামদায়ক ভ্রমণ, ইত্যাদি কারণে অনেক যাত্রী এখন আকাশপথের দিকে বেশী উৎসাহ দেখাচ্ছেন। চাহিদার কারণের অনেক সময় টিকেট সঙ্কটও সৃষ্টি হচ্ছে। যাত্রীদের চাহিদার কারণে প্রতিটি বিমান সংস্থাই তাদের সর্বচ্চ সংখ্যক ফ্লাইট রেখছে ব্যাস্ততম এই রুটে। ঢাকা চট্টগ্রাম রুটে বর্তমান ফ্লাইট সংখ্যা সপ্তাহে কম বেশী ২১ থেকে ৩০ টি। ঢাকা চট্টগ্রাম রুটে কোন বিমান সংস্থা কয়টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে তাঁর একটি হিসাব নিচের চার্টে দেয়া হল। উল্লেখ্য এই যে এই ফ্লাইট সংখ্যা পরিবর্তনশীল এবং এই সংখ্যা সম্পুরনভাবে বিমান সংস্থার সিদ্ধান্তের উপর নির্ভরশীল। আমরা আপনাদের সুবিধার্থে একটি গড় হিসাব দিচ্ছি। যেমন বাংলাদেশ বিমান কোন দিন ৩ টি ঢাকা চট্টগ্রাম ফ্লাইট পরিচালনা করে। আবার কোন দিন ফ্লাইট সংখ্যা বেড়ে গিয়ে ৭ টি ফ্লাইটে দাড়ায়।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ যেকোন জরুরী অবস্থা যেমন খারাপ আবহাওয়া অথবা রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি থাকলে সেক্ষেত্রে বিমান সংস্থার তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্তে ফ্লাইট সংখ্যার পরিবর্তন হতে পারে। এর জন্য ফ্লাইট এক্সপার্ট কোন ভাবেই দায়ী না।
বেশিরভাগ মানুষের বিমান ভাড়া সম্পর্কে অনেক বিভ্রান্তি আছে। তাদের ধারণা বিমান ভাড়া অনেক বেশী এবং বিমানে ভ্রমণ করা অনেক ঝক্কি ঝামেলার ব্যাপার। আসলে বিষয়টা মোটেও তা না। দেশে এখন বেশ কয়েকটি বিমান সংস্থা আছে। প্রতিযোগিতা এবং যাত্রীদের কাছে জনপ্রিয়তা পাবার জন্য তারা নিজ উদ্যোগেই বিমান ভাড়া অনেক কমিয়ে এনেছে, যেটা যাত্রীদের জন্য একটা সুসংবাদ।
বিমান ভাড়া বিষয়টা বেশিরভাগ সময়েই ফিক্সড থাকে না। ঢাকা চট্টগ্রাম বিমান ভাড়াও এর ব্যাতিক্রম না। ভ্রমণের তারিখের উপরে ভাড়া নির্ভর করে এবং সাধারণত কিছুটা এদিক সেদিক হয়। ভাড়া কিছুটা কমতেও পারে আবার কিছুটা বেড়েও যেতে পারে। তবে পার্থক্য খুব কমই হয়।
আমরা চেষ্টা করেছি যে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের বিমান ভাড়া সম্পর্কে আপনারা যেন একটা ধারণা পান। এই তথ্যগুলো সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থার ওয়েবসাইট থেকে নেয়া হয়েছে। এর যেকোন পরিবর্তন বা পরিবর্ধনের সকল দায় দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থার।
বিভিন্ন বিমান সংস্থার বিভিন্ন রকম বিমান ভাড়া আছে। সংস্থাগুলো যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ক্লাস বা শ্রেণি বিন্যাস করে থাকে। ক্লাস ভেদে ভাড়া বিভিন্নরকম হয়ে থাকে। এখানে আমরা চেষ্টা করেছি প্রতিটি বিমান সংস্থার সর্বচ্চ এবং সর্বনিম্ন ভাড়ার তালিকা তৈরি করতে।
আভ্যান্তরিন বিমান ভ্রমণের জন্য পাসপোর্টের প্রয়োজন হবে না। তাই বিমান ভ্রমণের আলাদা কোন ঝামেলা নেই বললেই চলে। নিরাপত্তার খাতিরে শুধু আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রটি হলেই চলবে।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বিমান টিকিট করতে পারবেন আপনার পছন্দের বিমান সংস্থার অফিস অথবা ওয়েবসাইট থেকে। অগ্রিম টিকিট করাটা বেশী সুবিধাজনক। ভাড়ার ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় পেতে পারেন। এছাড়া পছন্দসই আসনও বেছে নিতে পারবেন। এছাড়া ট্রাভেল এজেন্সি থেকেও টিকিট করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আরও কিছু ডিসকাউণ্ট পেলেও পেতে পারেন। বাংলাদেশের ট্রাভেল এজেন্সি গুলোর মধ্যে ফ্লাইট এক্সপার্ট বেশ স্বনামধন্য। এদের ওয়েবসাইট
ঠিকানাঃ https://www.flightexpert.com/
ফ্লাইট এক্সপার্টের ঢাকা অফিসের ঠিকানাঃ
৯০/১ মতিঝিল সিটি সেন্টার
লেভেল ২৫ – বি -১, (লিফটের ২৬ তলা )
মতিঝিল , ঢাকা – ১০০০
চট্টগ্রামের সম্মানিত যাত্রীদের বিশেষ সেবা দেয়ার জন্য সম্প্রতি ফ্লাইট এক্সপার্ট তাদের প্রথম শাখার উদ্বোধন করেছে চট্টগ্রামে। এই অফিস থেকে যেকোন গন্তব্যের বিমান টিকিট কেনা থেকে শুরু করে বিমান ভ্রমণ সংক্রান্ত সব ধরনের সেবা দেয়া হবে। ফ্লাইট এক্সপার্টের চট্টগ্রাম অফিসের ঠিকানাঃ
ফ্লাইট এক্সপার্ট
আইয়ুব ট্রেড সেন্টার
১২৬৯/বি, এস কে মুজিব রোড
আগ্রাবাদ বা/এ, চট্টগ্রাম।
যেকোন ডোমেস্টিক বা ইন্টারন্যাশনাল রুটে ফ্লাইট বুকিং, হোটেল বুকিংসহ ভ্রমণবিষয়ক যেকোন তথ্যের জন্য আমাদের ফোন করুন এই নম্বরেঃ +৮৮০ ৯৬১৭ ১১১ ৮৮৮ অথবা ০১৮৪৭-২৯১-৩৮৮ অথবা ভিজিট করুনঃ www.flightexpert.com
নিয়ম অনুযায়ী ইকোনমি যাত্রীরা প্রত্যেকে ২০ কেজি পরিমান চেক কৃত মালামাল বহন করতে পারবেন। তাছাড়া কেবিন লাগেজ হিসেবে ৭ কেজি মাল বহন করা যাবে। বিজনেস ক্লাসের যাত্রীরা ৩০ কেজি চেক কৃত মালামাল এবং ৭ কেজি কেবিন লাগেজ বহন করতে পারবেন। এর চাইতে বেশী লাগেজ পরিবহন করতে চাইলে অতিরিক্ত ফি দিতে হবে। এই ফি সম্পর্কে জানার জন্যে আপনার নির্দিষ্ট এয়ারলাইন্সের সাথে যোগাযোগ করুন। বিমানে মালামাল পরিবহনের সিমাবদ্ধতা ও নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে আরও তথ্য পেতে চাইলে আমাদের এই ব্লগ পোস্টটি পড়ে দেখতে পারেনঃ https://www.flightexpert.com/blog/baggage-rules-for-air-travelers.
List of Best Hotels in Bangladesh
List of Best Hotels in Bangladesh
List of Best Hotels in Bangladesh
Biman Bangladesh Airlines – 12 Reasons to fly with Biman
By Rahat Muna
July 26, 2022
Thinker & Designer