অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি

অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি (OTA) কেন ব্যাবহার করবেন । বাংলাদেশের সেরা অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি

আমরা যারা আকাশপথে দেশে বা বিদেশে ভ্রমণ করা থাকি তাদের কমবেশি সবাই ট্রাভেল এজেন্সির নামক সংস্থাগুলোর কথা জানি যারা বিভিন্ন গন্তব্যের বিমান টিকিট সরবরাহ করে থাকে। বর্তমান ডিজিটাল যুগে অবশ্য এইসব সনাতন ট্রাভেল এজেন্সির আধুনিকায়ন হয়েছে এবং নতুন ধরনের ট্রাভেল এজেন্সির উৎপত্তি হয়েছে যাকে বলা হচ্ছে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি। মুলত এদের কাজ অনলাইনের মাধ্যমে গ্রাহকদের টিকিট সরবরাহ করা এবং পেমেন্ট গ্রহন করা।

 

অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি কি?

অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি মুলত একটি ট্রাভেল এজেন্সি যারা তাদের ব্যাবসা পরিচালনা করে থাকে তাদের নিজস্ব ওয়েব সাইট বা পোর্টালের মাধ্যমে। অনেক অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সির অফিসে গিয়েও টিকিট বুক করার সুযোগ আছে। তবে তাদের মুল লক্ষ্য থাকে ওয়েব সাইটের মাধ্যমে বিমান টিকিট, হোটেল রুম ইত্যাদি বিক্রির সেবা দিয়ে থাকে। এতে গ্রাহক শুধু মাত্র ওয়েবসাইট ব্যাবহারের মাধ্যমে পেমেন্ট সহ নিজের টিকিট নিজে বুক করে নেয়ার স্বাধীনতা পেয়ে থাকেন।


অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবহারের সুবিধা

অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবহারের বেশ কিছু এক্সট্রা সুবিধা রয়েছে। যেমনঃ

 

১। বাইরে না গিয়ে ঘরে বসে আপনি আপনার পছন্দ মত তারিখের ও গন্তব্যের বিমান টিকিট করতে পারবেন।


২। ক্যাশ টাকা নিয়ে ঘুরাঘুরি করার ঝামেলা থেকে মুক্ত থেকে নিরাপদে অনলাইনে টিকিট মুল্য পরিশোধ করতে পারবেন।

 

৩। সব থেকে বড় সুবিধা হল অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সিতে আপনি আপনার ইচ্ছা মত গন্তব্যে সার্চ দিয়ে সেখানকার সমস্ত ফ্লাইটের ভাড়া, সময় ইত্যাদি সহ যাবতীয় তথ্যাদি চেক করতে পারবেন যেকোন ডিভাইস এমনকি মোবাইল থেকেও। সার্চ দিয়ে ফ্লাইট চেক করতে আপনার কোন প্রকার টাকা পয়সা খরচ হবে না বা ওয়েব সাইটে রেজিস্ট্রেশনও করতে হবে না। এবং এই কাজটি আপনি করতে পারবেন দিন রাত ২৪ ঘন্টা, বছরের ৩৬৫ দিনই।


এখানে উল্লেখ্য এই যে সব অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সির ইনভেন্ট্রি বা কালেকশনে সব এয়ারলাইন্স থাকেনা। একারণে ভাড়া সার্চ দিলে তাদের শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু এয়ারলাইন্সের ভাড়া দেখায়। কারণ সব এয়ারলাইন্সের এজেন্সির ইনভেন্ট্রি বা কালেকশন পাওয়া অনেক কঠিন একটা ব্যাপার। এজন্য অনেক টেকনিক্যাল ব্যাপার স্যাপার আছে। সেটা নিয়ে অন্য দিন কথা বলা যাবে।


তবে কিছু বড় অনলাইন  ট্রাভেল এজেন্সি আছে যাদের এজেন্সির ইনভেন্ট্রি বা কালেকশনে প্রায় সব এয়ারলাইন্সই পাওয়া যায়। এরকম একটি ট্রাভেল এজেন্সি আছে বাংলাদেশে, যার নাম ফ্লাইট এক্সপার্ট (Flight Expert)। এদের কাছে পৃথিবীর ৬৫০ টিরও বেশী এয়ারলাইন্সের কালেকশন রয়েছে। একারনে যেকোন গন্তব্যেই একাধিক এয়ারলাইন্সের টিকিট এরা সরবরাহ করতে পারবে। এদের ওয়েব সাইটঃ https://www.flightexpert.com/


৪। বিদেশি কোন ট্রাভেল এজেন্সির কাছ থেকে টিকিট বা হোটেল কিনলে সেক্ষেত্রে আপনাকে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে হবে। কিন্তু ফ্লাইট এক্সপার্টের মত ট্রাভেল এজেন্সিতে আপনি বাংলা টাকাতেও পেমেন্ট করতে পারবেন।


৫। নিজস্ব স্বাধীনতা একটা বড় ব্যাপার যেকোন কিছু বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে। যেমন আপনি কোন এয়ার লাইন্সে যাবেন, কোন ক্লাসে যাবেন ইত্যাদি সম্পূর্ণ রুপে আপনার ব্যাক্তিগত সিদ্ধান্ত। এবং এই সিদ্ধান্তকে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি সম্মান জানায়।


সাধারন ট্রাভেল এজেন্সি গুলোতে যে সমস্যা হয় সেটি হল, তাদেরকে আপনার অনেক প্রশ্ন করতে হবে এবং শেষ পর্যন্ত তারা যে সিদ্ধান্ত আপনাকে দিবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেটা মেনে নেয়া ছাড়া আপনার তেমন কিছু করার থাকবে না। ওরা যেটা বলবে সেটাই আপনার মেনে নিতে হবে। যেমন আপনি কোন গন্তব্যের সবচাইতে কম প্রাইসের টিকিট চাইলে ওরা আপনাকে একটা প্রাইস অবশ্যই দিবে। কিন্তু আপনি কখনই জানতে পারবেন না যে সেটা ওই গন্তব্যের সর্ব নিম্ন প্রাইস কিনা, কারণ আপনার কাছে কোন পোর্টাল এর এক্সেস থাকবে না।

 

শুনে নয়, দেখে সিদ্ধান্ত নিন

অন্যদিকে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সিতে সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষেত্রে আপনিই বস! আপনি ইচ্ছা মত ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার গন্তব্যের সকল এয়ারলাইন্সের ভাড়া দেখতে পাবেন। সেখান থেকে আপনার পছন্দমত এয়ারলাইন্স ও ফ্লাইট টাইম, ভাড়া ইত্যাদি বেছে নিতে পারবেন। অযথা কাউকে একগাদা প্রশ্ন করে উত্তর নেয়ার দিন শেষ!


৬। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সিগুলো বিমান সংস্থার টিকেট মুল্য বিমান সংস্থা গুলোর নিজস্ব ওয়েবসাইট বা অফিস থেকেও কম হয়ে থাকে। এর কারণ হল বিমান সংস্থা এবং অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর মধ্যেকার বিশেষ চুক্তি। একারনে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সিগুলো থেকে টিকিট কিনলে তা বেশীরভাগ ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী হয়।


৭। অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সিগুলো অনেক সময় বিভিন্ন ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি ভিত্তিক প্রোমোশন চালায় যাতে গ্রাহক্বৃন্দ উপকৃত হয়। যেমন কোন গ্রাহক নির্দিষ্ট কোন ব্যাংকের কার্ড ব্যাবহার করে অনলাইনে টিকেট কিনলে একটা নির্দিষ্ট এমাউন্টের ডিস্কাউন্ট পাবেন সেই গ্রাহক। এছাড়া ফ্রি লাউঞ্জ সহ আরো আন্যান্য সুবিধাও পাওয়া যাবে!

 

৮। অনলাইনে ট্রাভেল এজেন্সির ওয়েবসাইট এবং কাস্টমার সার্ভিস সাধারণত বিমান সংস্থাগুলো থেকে বেশ উন্নত মানের হয়ে থাকে। একই সাথে কম প্রাইস এবং ভালো সার্ভিস মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি থেকে টিকিট করতে।

 

৯। হোটেল বুকিং এর ক্ষেত্রে ক্যান্সেলেশন দরকার হলে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সিগুলো ভাল সাপোর্ট  দিয়ে থাকে। তাই ব্যাপারটা গ্রাহকদের জন্য অনেক সবিধা জনক হয়ে থাকে।


১০। যেকোন ধরনের প্যাকেজ আয়োজনের ক্ষেত্রে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি গুলো দারুণ কাজ দেখায়। বড় ট্রাভেল এজেন্সি গুলোর সাথে পৃথিবীর প্রায় সব দেশের হোটেলের চুক্তি থাকে। এজন্য কম মুল্যে হোটেল পাওয়া যায়। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ডিস্কাউন্টও  থাকে। এছাড়া অপশন অনেক থাকার কারণে গ্রাহকরা তাদের ইচ্ছা ও সুবিধা মত মুল্যে প্যাকেজ পরিবর্তন/ পরিবর্ধন করে নিতে পারে।


১১। বড় অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সিগুলো ট্রাভেল EMI এর মত সুবিধা গুলো প্রদান করতে পারে যা সাধারণত অন্য কোন এয়ারলাইন্স বা সাধারন ট্রাভেল এজেন্সি দিতে পারে না। যেমন ফ্লাইট এক্সপার্ট বর্তমানে ৫ হাজার টাকার উপরের যেকোন মুল্যমানের এবং যেকোন গন্তব্যের বিমান টিকিট ও হোটেলে দিচ্ছে সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের EMI সুবিধা। বিস্তারিত জানতে তাদের EMI পেজ থেকে ঘুরে আসতে পারেনঃ https://www.flightexpert.com/emi.html


১২।এয়ারলাইন্সে ভাড়ার ব্যাপারটা সাধারন যাত্রীদের কাছে সব সময়েই একটা বিতর্কের বিষয় হয়ে দাড়ায়। এটা নিয়ে অনেকের অভিযোগের শেষ থাকেনা। অবশ্য টিকিট ক্রেতাদের অভিযোগের যথেষ্ট ভিত্তি আছে। কারন আন্তর্জাতিক বা ডোমেস্টিক, সব ধরনের বিমানের ভাড়া ক্রমাগত পরিবর্তিত হতে থাকে। এই সপ্তাহে আপনি যে ভাড়ায় কক্সবাজার বা কুয়ালালামপুর গেলেন, এর ২ সপ্তাহ পরে এই দামে বিমান টিকিট নাও পেতে পারেন। কম বেশী হতেই পারে। একটু ঝামেলার মনে হলেও এই ভাড়ার ব্যাপার গুলো এভাবেই নিয়ন্ত্রন করে থাকে বিমান সংস্থাগুলো।


এর কারন হল এয়ার লাইন্স ইন্ডাস্ট্রিতে বহুল প্রচলিত ডায়নামিক প্রাইসিং মেথড। এই মেথড অনুযায়ি একটা বিমানের সব আসনের ভাড়া কখনই সমান হবে না। এমন কি সব ইকোনমি ক্লাসের সিট বা বিজনেস ক্লাসের সিটের ভাড়াও এক হবে না।


ডায়নামিক প্রাইসিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের এই ব্লগটি পড়ে নিতে পারেনঃ https://www.flightexpert.com/blog/dynamic-pricing-airlines

 

সরাসরি এয়ারলাইন্স থেকে টিকিট কেনার অসুবিধা সমুহ

এইত গেল অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সির সুবিধা সমুহ। তো অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন যে সরাসরি যেকোন এয়ার লাইন্সের ওয়েব সাইট থেকে টিকিট কিনলে কি সমস্যা? না তেমন কোন সমস্যা অবশ্যই নাই। তবে কিছু সুবিধা কম পাবেন। যেমনঃ


১। আপনি কোন এয়ার লাইন্সের ওয়েবসাইটে গেলে শুধু তাদের প্রদত্ত ভাড়া দেখতে পাবেন। এখানে আপনি অন্য এয়ারলাইন্সের ভাড়ার সাথে তুলনা করার কোন সুযোগ পাবেন না। তুলনা করতে হলে আপনাকে আরেকটি এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইটে গিয়ে সব তথ্য চেক করতে হবে। এজন্য আপনাকে ব্রাউজারে নতুন ট্যাব খুলে নতুন এয়ারলাইন্সের ওয়েব সাইটে গিয়ে আপনার ভ্রমণ সময় ও গন্তব্য সংক্রান্ত নতুন করে তথ্য প্রদান করে তার পর ভাড়া জানতে হবে।


স্বাভাবিক ভাবেই এজন্য আপনার বেশী সময় লাগবে। অন্যদিকে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সির ওয়েব সাইটে আপনি একই সাথে এভেইলেবল সব এয়ারলাইন্সের ভাড়া সহ অন্যান্য তথ্য পেয়ে যাবেন একটি সার্চের মাধ্যমেই। কোন গ্রাহক অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সির ওয়েব সাইট সার্চ করলে ওয়েবসাইট তখন GDS (Global Distribution System) থেকে সব বিমানের ভাড়া সংগ্রহ করে একটি রেজাল্ট পেইজে দেখায়। GDS এর ব্যাপারটা অন্যদিন ব্যাখ্যা করব। সোজা কথায় এটা একটা সেন্ট্রাল সিস্টেম যেখানে সব বিমানের সব ফ্লাইটের ভাড়া লিস্ট করা থাকে।


ফ্লাইট সার্চ করলে রেজাল্ট পেজটি এরকম আসবে ফ্লাইট এক্সপার্টেএ ওয়েব সাইটে।

 

২। অনলাইনে যদি কোন বিদেশী এয়ারলাইন্সের ওয়েব সাইট থেকে অনলাইনে টিকিট কাটতে চান  তাহলে সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট  কার্ড হোল্ডার হতে হবে। না হলে আপনি পেমেন্ট করতে পারবেন না। বাংলাদেশের ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট করার অপশন নাই। এছাড়া পেপ্যাল বা ওরকম কোন পেমেন্ট সংস্থাও নাই। তাই ক্রেডিট কার্ডই একমাত্র ভরসা। কিন্তু এই ক্রেডিট কার্ড ম্যানেজ করা অনেকে পক্ষেই সম্ভব হয়ে উঠে না। তাই তাদের ভরসা করতে হয় সাধারন ট্রাভেল এজেন্সি গুলার উপর।


অন্যদিকে ফ্লাইট এক্সপার্টের মত ট্রাভেল এজেন্সি গুলো দিচ্ছে বাংলা টাকায় যেকোন বিমান টিকিটের মুল্য পরিশোধের সুযোগ। এছাড়া অনলাইনেই যেকোন ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড, বিকাশ, সব ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমেও পেমেন্ট করার সুবিধা রয়েছে। এতে করে আরে ক্রেডিট কার্ডের উপর নির্ভরশীলতার  ঝামেলা আর পোহাতে হচ্ছে না!


ফ্লাইট এক্সপার্ট যেকোন ধরনের VISAMaster Card এবং Amex, ডাচ বাংলা ব্যাংক, ফাস্ট ক্যাশ এর মাধ্যমে অনলাইনে পেমেন্ট নিতে পারবে। এছাড়া ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যাবহার করে ব্যাংক এশিয়া, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি টাচ (সিটি ব্যাংক), ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, এম টি বি ব্যাংক এবি ব্যাংকের মাধ্যমে পেমেন্ট করা যাবে। মোবাইল ব্যাংকিং যেমন বিকাশ, রকেট, এম ক্যাশ, মাই ক্যাশ, আই পে, ইত্যাদি ব্যাবহার করে সহজে পেমেন্ট সম্ভব। এছাড়া অফিসে এসে নগদ টাকাতেও পেমেন্ট করা যাবে।

 

সাধারন ট্রাভেল এজেন্সিগুলো থেকে টিকিট কেনার কিছু অসুবিধা

সাধারন ট্রাভেল এজেন্সি গুলো একসময় রাজত্ব করত এবং তাদের কোন বিকল্পও ছিল না। তবে যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষ এখন সময়, খরচ এবং মুভমেন্টের ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সির উপর বেশী ভরসা করে। সাধারন ট্রাভেল এজেন্সি গুলো থেকে টিকিট কেনার অসুবিধা গুলো হলঃ


১। সেখানে আপনাকে নিজে যেতে হবে। ঢাকা শহরের যে প্রান্তেই থাকেন না কেন, ট্র্যাফিক জ্যাম আপনাকে ছাড়বেই নাই। তাই সেখানে ফিজিক্যালি উপস্থিত হওয়াটাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ।


২। সাধারন ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর গ্রাহকদের জন্য ডেডিকেটেড কোন পোর্টাল থাকে না। এর ফলে গ্রাহক কখনই এয়ারলাইন্সের সঠিক ভাড়া জানতে পারে না। গ্রাহকের প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ি ট্রাভেল এজেন্ট যেটা বলবে সেটা মেনে নেয়া ছাড়া কিছু করার থাকবে না। এবং এটাই বলাই বাহুল্য যে প্রত্যেক ট্রাভেল এজেন্সি তার নিজস্ব সুবিধা অনুযায়ি টিকেট বিক্রি করে। গ্রাহকের সুবিধা বিবেচনা করার আগে তারা তাদের ব্যাবসায়িক চিন্তার কথাই ভাববে এটাই কি স্বাভাবিক না?


অন্যদিকে ফ্লাইট এক্সপার্টের মত এজেন্সিগুলো গ্রাহকদের জন্য ডেডিকেটেড পোর্টাল তৈরি করে রেখেছে যেখানে গ্রাহকরা নিজেদের সুবিধা মত সার্চ দিয়ে ফ্লাইটের সঠিক ভাড়া দেখে নিতে পারে এবং সেই অনুযায়ি সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এজন্য গ্রাহক কারো মুখাপেক্ষী থাকতে হয় না বা কারও কথায় বাধ্য হয়ে বিশ্বাসও করতে হয় না। পছন্দমত পদ্ধতিতে পেমেন্ট করার মাধ্যমে আপনার রেজিস্টার্ড ই-মেইলে ২-৫ মিনিটের মধ্যেই চলে যাবে আপনার বিমান টিকিটের সফট কপি (পিডিএফ)।


চেস্টা করেছি অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি থেকে কি কি সুবিধা পাবেন সে সম্পর্কে বুঝাতে। আশা করি উপকারে আসবে। কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট সেকশনে লিখে ফেলে। দ্রুত উত্তর দেবার চেস্টা করব।

 

ফ্লাইট এক্সপার্ট আপনাকে দিচ্ছে সীমিত খরচে উমরাহ প্যাকেজ সহ খরচে পৃথিবীর প্রায় সকল দেশে হোটেল সুবিধা। তার মানে দেশে থেকেই আপনি বিমান টিকিট ও হোটেল একসাথে বুক করে ফেলতে পারবেন। টিকিট বা হোটেলের খরচ মিলে অনেক বেশী মনে হচ্ছে? কোন চিন্তা নেই! বাংলাদেশে এই প্রথমবারের মত ফ্লাইট এক্সপার্ট দিচ্ছে বিমান টিকিট এবং হোটেলের উপর EMI সুবিধা। সরবচ্চ ৩৬ মাসের Travel EMI সুবিধা পাবেন অতি সহজেই। Travel EMI সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুনঃ https://www.flightexpert.com/emi.html

 

ফ্লাইট এবং হোটেল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে কল করুনঃ +88-09617-111-888 অথবা ভিজিট করুন www.flightexpert.com

 

অথবা সরাসরি চলে আসুন আমাদের অফিসেঃ

 

ঢাকা অফিস

 Flight Expert Dhaka (Main branch)

90/1 Motijheel City Centre

Lift 26

Dhaka 1000, Bangladesh.

 

 

চট্টগ্রাম অফিস

 Flight Expert (Chattogram)

Level# 4, Ayub Trade Center

1269/B, Sk Mujib Road

Agrabad C/A, Chattogram.

By Rahat Muna

Thinker & Designer

Share This Post :