লন্ডন ভ্রমণ গাইডঃ দর্শনীয় স্থান ও ভ্রমণ খরচ

লন্ডন ভ্রমণ গাইডঃ দর্শনীয় স্থান ও ভ্রমণ খরচ

যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডন বিশ্বের সেরা শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম। পর্যটকদের অন্যতম পছন্দের শহর লন্ডন। এর হাজার বছরের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও অভিজাত সংস্কৃতি চুম্বকের মতো টেনে আনে তাদের। 


লন্ডন শহরে একদিকে রয়েছে অসাধারণ স্থাপত্যশৈলীতে তৈরি অসংখ্য প্রাসাদ ও ঐতিহাসিক নিদর্শন দিয়ে ভরপুর জাদুঘর, আবার রাস্তায় বের হলেই চোখে পড়ে আধুনিক মডেলের গাড়ি, বাড়ি, রাস্তা, রেস্টুরেন্ট ও ক্যাফের সমাহার। লন্ডনকে বলা যায় অতীত ও ভবিষ্যতের মিশেলে এক অপূর্ব শহর।   


এই লন্ডন ভ্রমণ গাইডে আমরা লন্ডনের দর্শনীয় স্থান, কখন যাবেন, কিভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন, কী খাবেন, এবং সবশেষে ভ্রমণ খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।


লন্ডন ভ্রমণ গাইডঃ দর্শনীয় স্থানসমূহ


লন্ডনের দর্শনীয় স্থানগুলো নিম্নরুপঃ 

বাকিংহাম প্যালেস



ব্রিটিশ রাজপরিবারের বাসভবন ও হেডকোয়ার্টার বাকিংহাম প্যালেস। এখান থেকেই রাজপরিবারের সকল রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর প্রধানমন্ত্রী/রাষ্ট্রপতিদের এখানেই রাজার আতিথেয়তা গ্রহণ করেন। বাকিংহাম প্যালেস ব্রিটিশ সরকার ও রাজতন্ত্রের অপরিহার্য উপাদান।  তাই ব্রিটিশদের কাছে বাকিংহাম প্যালেসের গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি। 


৭৭,০০০ বর্গমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত প্রাসাদটিতে রয়েছে ৭৭৫ টি কক্ষ যার মধ্যে ১৮৮ টি কর্মচারীদের কক্ষ, ৯২ টি অফিস, ৫২ টি প্রধান কক্ষ এবং ১৯ টি স্টেট রুম রয়েছে। এর কক্ষগুলোর অভিজাত সাজসজ্জা দেখে চোখ কপালে উঠে যাবে আপনার। টিকেটের মূল্য ২৩ ডলার কিন্তু টিকেট বুক করতে হবে কমপক্ষে ৬ মাস আগে। 


টাওয়ার অব লন্ডন



বেশ কিছু টাওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত লন্ডনের বিখ্যাত টাওয়ার অব লন্ডনের আছে ৯০০ বছরের ইতিহাস। কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা এই স্থাপত্যটি একসময় কারাগার হিসেবে ব্যবহৃত হতো যেখানে লন্ডনের কুখ্যাত আসামীদের বন্দী করে রাখা হতো এবং টর্চার করা হতো। পরবর্তীতে এটিকে একটি অত্যন্ত সুরক্ষিত দূর্গে পরিণত করা হয়েছে যেখানে যুক্তরাজ্যের রাজার মূল্যবান স্বর্ণ ও হীরামন্ডিত রাজমুকুট সহ অন্যান্য রাজ-অলংকার সংরিক্ষিত আছে। 


একদা দুর্ভেদ্য এই দূর্গে ট্যুরিস্টরা এখন টিকেট কেটে ঢুকতে পারে। টিকেট মূল্য ২৯.৯০ ইউরো এবং বিনামূল্যে গাইডেড ট্যুরের ব্যবস্থা আছে। রহস্য-রোমাঞ্চ পছন্দ করলে এই জায়গাটি অবশ্যই ঘুরে আসতে ভুলবেন না। 


টাওয়ার ব্রীজ



টাওয়ার ব্রীজ বা লন্ডন ব্রীজ লন্ডনের সবচেয়ে পুরোন স্থাপত্যগুলোর মধ্যে অন্যতম। ব্রীজটির স্থাপত্যশৈলী সত্যিই তাক লাগিয়ে দেয়। বেস্ট ভিউ পেতে হলে ব্রীজের নীচে পানির ওপর দিয়ে বোটে করে ঘুরে আসুন। বিকেলের মৃদুমন্দ হাওয়া আর ব্রীজের অসাধারণ ভিউ মিলিয়ে বেশ সুন্দর সময় কাটবে। 


এই ব্রীজটি উপভোগ করার আরেকটি ভালো উপায় ব্রীজের দুই ধারের অসংখ্য ক্যাফেগুলোর একটিতে বসে ব্রিটিশদের বিখ্যাত “আফটারনুন টী” পান করা। তাছাড়া ব্রীজের টাওয়ারে ঢুকতে চাইলে খরচ করতে হবে ১১.৪০ ইউরো যার সাথে আপনি পাবেন ওয়াকওয়ে, গ্লাস ফ্লোর, আর ইঞ্জিন রুমে প্রবেশের অনুমতি।


ওয়েস্টমিন্সটার এবে



লন্ডনের সবচেয়ে সুন্দর চার্চ হিসেবে অনায়াসেই ওয়েস্টমিন্সটার এবে কে চালিয়ে দেয়া যায়। নিও গথিক স্থাপত্যশৈলীতে তৈরি এই চার্চটিতে ব্রিটিশ রাজপরিবারের বড় বড় অনুষ্ঠান যেমন রাজ্যাভিষেক, বিয়ে ইত্যাদি হয়। রানী এলিজাবেথ ও প্রিন্স ফিলিপ, রাজা চার্লস ও প্রিন্সেস ডায়ানা, এবং সর্বশেষ প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্সেস কেটের বিয়ে এখানেই হয়। 


লন্ডন গেলে অসাধারণ সুন্দর এই চার্চটি দেখতে যেতে ভুলবেন না। চার্চে প্রবেশমূল্য ২৭ উইরো। সকাল সকাল পৌঁছাতে পারলে ভালো কারণ চার্চের প্রবেশপথে বিশাল লাইন হতে দেখা যায়। 


প্যালেস অব ওয়েস্টমিন্সটার ও বিগ বেন



বাকিংহাম প্যালেস থেকে মাত্র ১ কিমি’র দূরত্বে অবস্থিত যুক্তরাজ্যের সংসদ ভবন ওয়েস্টমিন্সটার প্যালেস। ১৮৩৪ সালের গ্রেট ফায়ারের ধংসাত্বক ঘটনার পর প্রাসাদটি নতুন করে নির্মিত হয়। এটির নজরকাড়া স্থাপত্যশৈলী এটিকে পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষনীয় করে তুলেছে। 


ওয়েস্টমিন্সটার প্যালেসের ঠিক সাথেই রয়েছে বিগ বেন বা এলিজাবেথ টাওয়ার। প্রাচীন এই টাওয়ারটিতে রয়েছে বিশালাকার একটি ঘড়ি যার কাঁটা বছরের পর বছর ধরে ঘুরে চলেছে। বর্তমানে বিগ বেনের সংস্কার কাজ চলছে তাই ঘড়িটি দেখা যাবে না কিন্তু আপনি চাইলে ভবনটির বাইরে থেকে ঘুরে আসতে ও ছবি তুলতে পারেন। 


লন্ডন আই



আমাদের লন্ডন ভ্রমণ গাইডে পরবর্তী স্থান লন্ডন আই। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফেরিস হুইল বা নাগরদোলা। ১৯৯৯ সালে থেমস নদীর তীরে এটি  নির্মিত হয়। ১৩৫ মিটার উঁচু লন্ডন আই থেকে ২৫ কিমি পর্যন্ত ৩৬০- ডিগ্রী প্যানারোমিক ভিউ পাওয়া যায়। তাই এটির নাম “লন্ডন আই” রাখা হয়েছে। বিখ্যাত এই নাগরদোলাটি উপভোগ করতে হলে ৩২.৫০ ইউরো দিয়ে টিকেট কাটতে হবে। 


চার্চিল ওয়ার রুমস



চার্চিল ওয়ার রুমস ব্রিটেনের ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়কে তুলে ধরে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে চলাকালীন এই গোপন আন্ডারগ্রাউন্ড কক্ষগুলো থেকেই ব্রিটিশ সরকারের প্রশাসনিক সিধান্তগুলো নেয়া হতো। এখানে বসেই উইন্সটন চার্চিল ও ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তারা ব্রিটিশ সেনাদের পরিচালনা করেন ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। 


জায়গাটি এখনো ঠিক সেই সময়ের মতোই আছে, কোন কিছুই পরিবর্তন করা হয়নি। তাই এখানে এসে আপনার মনে হবে টাইম মেশিনে করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে চলে গিয়েছেন বুঝি। প্রবেশ মূল্য ২৬.৩৫ ইউরো দিয়ে এখানে ঢুকতে হবে।


ন্যাশনাল গ্যালারী



লন্ডনের বিখ্যাত ট্রাফালগার স্কয়ারে অবস্থিত ন্যাশনাল গ্যালারি শহরটির সবচেয়ে বড় ও সমৃদ্ধ আর্ট গ্যালারী। এটি একটি পাবলিক আর্ট মিউজিয়াম তাই এখানে প্রবেশের জন্য কোন টাকা লাগে না। এই আর্ট মিউজিয়ামে রয়েছে ২,৩০০’র ও বেশি বিশ্বখ্যাত চিত্রকরদের আঁকা চিত্র। ১৩০০ থেকে ১৯০০ শতকের মধ্যে এই চিত্রগুলো আঁকা হয়েছে। 


সুতরাং বুঝতেই পারছেন কত প্রাচীন ও বৈচিত্র্যময় এই গ্যলারীর চিত্রগুলো। ন্যাশনাল গ্যালারী বিল্ডিংটি গ্রীকদের “প্যানথিওন” এর আদলে নির্মিত হয়েছে। লন্ডনে আসলে এই জায়গাটি অবশ্যই ঘুরে যাবেন।


ব্রিটিশ মিউজিয়াম



লন্ডনের আরেকটি অসাধারণ ল্যান্ডমার্ক ব্রিটিশ জাদুঘর। এটি যুক্তরাজ্যের প্রথম পাবলিক জাদুঘর। এর নিদর্শনগুলো মানব ইতিহাস, শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ইজিপ্টের “রোজেট্টা স্টোন”। 


প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ ঘুরতে আসেন এই মিউজিয়ামটি। এখানকার প্রবেশ ফ্রী কিন্তু বেশ বড় লাইন ধরতে হয় প্রবেশপথে। সুতরাং হাতে সময় নিয়ে আসুন। 


হাইড পার্ক



লন্ডন তথা পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর পার্ক বলা হয় হাইড পার্ককে। ৩৫০ একর এলাকা নিয়ে অবস্থিত হাইড পার্ক অত্যন্ত সুন্দর ও মনোরম পরিবেশের কারণে লন্ডনারদের প্রিয় প্রমোদ উদ্যান হিসেবে পরিচিত। বছরের পুরোটা সময় জুড়ে পার্কটি মুখরিত থাকে মানুষের পদচারণায়। নানারকম কনসার্ট ও মিলনমেলার ভেন্যু হিসেবে ব্যবহৃত হয় পার্কের বিভিন্ন জায়গা।


লন্ডনের কংক্রিটের জঙ্গলের মধ্যে একটুখানি স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে ঘুরে আসুন হাইড পার্ক। পার্কের নরম সবুজ ঘাসে শুয়ে বসে আর গল্পের বই পড়ে অনায়াসে কাটিয়ে দিতে পারেন অলস সময়।


কেন্সিংটন প্যালেস



আমাদের ভ্রমণ গাইডে পরবর্তী দর্শনীয় স্থান কেন্সিংটন প্যালেস। ব্রিটিশ রাজপরিবারের বাচ্চারা এখানে বাস করে। তাছাড়া এটি রানী ভিক্টোরিয়ার জন্মস্থান ও এখান থেকেই তিনি রানীর শপথ গ্রহণ করেন তাই কেন্সিংটন প্যালেস ঐতিহাসিকভাবেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কেন্সিংটন প্যালেসের প্রবেশমূল্য ২০ ইউরো। 


প্রাসাদটির আশেপাশে খুব সুন্দর বাগান রয়েছে যেখানে ছোট ছোট প্রিন্স ও প্রিন্সেসরা খেলা করে। কেন্সিংটন প্যালেস ঘুরে বেড়ালে আপনি বুঝতে পারবেন কোন পরিবেশে কিভাবে রাজপরিবারের বাচ্চারা বেড়ে ওঠে ও তাদের ট্রেইন করা হয়। 


সোহো, পিকলি সার্কাস ও অক্সফোর্ড স্ট্রিট



এতক্ষন তো আমরা ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোর কথা বললাম। এবার বলি আধুনিক লন্ডনের প্রতিনিধি সোহো ও তাঁর আশেপাশের কিছু জায়গা নিয়ে। লন্ডনের অভিজাত পাড়া সোহো ও এর আশেপাশের বিখ্যাত ট্যুরিস্ট স্পট পিকলি সার্কাস ও অক্সফোর্ড স্ট্রিট ঘুরে না বেড়ালে আপনার লন্ডন ভ্রমণ অপূর্ণই থেকে যাবে। 


অক্সফোর্ড স্ট্রিটের জমকালো দোকানপাটগুলো সারা বছর ব্যস্ত থাকে। এখানে রয়েছে বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডগুলোর রিটেইল শপ ও হাই এন্ড রেস্টুরেন্টের সারি। এগুলো ঘুরে দেখার জন্য পায়ে হেঁটে ঘোরাই ভালো তাতে করে ধীরে সুস্থে সময় নিয়ে উপভোগ করতে পারবেন আধুনিক লন্ডন শহর। 


লন্ডনে যাওয়ার সেরা সময় কখন?


লন্ডনের আবহাওয়ার একটি অবিচ্ছ্যেদ্য অংশ বৃষ্টি। সারা বছর ধরেই বৃষ্টি হতে দেখা যায় এখানে। আর শীতে পড়ে প্রচন্ড ঠান্ডা। তাই বেশিরভাগ ট্যুরিস্টরাই বসন্তকালে লন্ডনে ঘুরতে যায়। সেজন্য বসন্তকাল ট্যুরিস্টদের পিক সিজন। এসময় প্লেন ভাড়া, হোটেল রুম- সবকিছুর দাম থাকে তুলনামূলক বেশি। 


তাই আমাদের পরামর্শ থাকবে শরৎকালে লন্ডনে যাওয়ার। শরতে অর্থাৎ সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাসে বৃষ্টির প্রকোপ কমে যায় আর শীতের আগে আগে আবহাওয়া বেশ সুন্দর থাকে। পাশাপাশি প্লেন ভাড়া ও হোটেল ভাড়াও হাতের লাগালে থাকে। সুতরাং, লন্ডনে যাওয়ার সেরা সময় সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাস, অর্থাৎ শরৎকাল। 


লন্ডন যাওয়ার উপায় কি?



লন্ডন যেতে হলে প্রথমে আপনাকে ইউকে ভিজিট ভিসা ২০২২ করতে হবে। লন্ডন ভিসা ২০২২ এর জন্য কিভাবে এপ্লাই করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন ইউকে গভমেন্ট এর ওয়েবসাইটটি। লন্ডন ভিসা ২০২২ প্রসেসিং সার্ভিস পেতে কল করুন +৮৮-০৯৬১৭-১১১-৮৮৮ নাম্বারে অথবা ইমেইলে যোগাযোগ করুন


কুয়েত এয়ারওয়েজ, শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্স, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, টার্কিশ এয়ারলাইন্স, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স থেকে প্রতিদিন অসংখ্য ফ্লাইট ছেড়ে যায় লন্ডনের উদ্দেশ্যে। ঢাকা থেকে লন্ডন বিমান ভাড়া কত জানতে ভিজিট করুন flightexpert.com। কমপক্ষে তিন মাস আগে টিকেট কাটলে ভাড়া অনেক কমে পাবেন।


কমপক্ষে এক সপ্তাহ হাতে নিয়ে লন্ডন ঘুরতে গেলে সব স্পট কভার করতে ও লন্ডন শহর ভালো করে উপভোগ করতে পারবেন।


লন্ডন গিয়ে কোথায় থাকবেন?



লন্ডন হচ্ছে পৃথিবীর অন্যতম দামী শহর। এখানে থাকা খাওয়ার পেছনে পৃথিবীর অনেক শহরের চেয়ে খরচ একটু বেশিই হয়। লন্ডনে রয়েছে বিশ্বসেরা কিছু হোটেল। পাশাপাশি মিড রেঞ্জেরও ভালো কিছু হোটেল রয়েছে। লন্ডনের সেরা হোটেলগুলো হলোঃ



তবে আপনি যদি রিজনবেল প্রাইসের মধ্যে ভালো হোটেল চান তবে নিচের লিস্টটি দেখতে পারেন।



লন্ডন গিয়ে কি খাবেন?



লন্ডনের বিখ্যাত খাবারের মধ্যে রয়েছে ফিশ অ্যান্ড চিপস, সানডে রোস্ট, ফুল ইংলিশ ব্রেকফাস্ট, বেগেল, স্কচ এগস, এবং আফটারনুন টি। লন্ডন গেলে অবশ্যই সকালবেলা “ইংলিশ ব্রেকফাস্ট” আর বিকেলবেলা “আফটারনুন টি” খাবেন। 


ইংলিশ ব্রেকফাস্ট এ মূলত ডিম ভাজা বা ফ্রাইড এগস, বেকন, মাশরুম, সসেজ, টমেটো, ফ্রাইড বা টোস্টেড ব্রেড, এবং এক স্লাইস পুডিং থাকে। আর আফটারনুন টি-য়ে চায়ের সাথে কয়েক পিস স্যান্ডুইচ, স্কোন, পেস্ট্রি ও কেক থাকে। লন্ডনের যেকোন রেস্টুরেন্ট থেকে আপনি সকালে ও বিকেলে এই আহারগুলো সেরে নিতে পারেন।


লন্ডন ভ্রমণ খরচ কত?



বাংলাদেশ থেকে লন্ডন ভ্রমণ খরচ নিম্নরুপঃ


রিটার্ন প্লেন ভাড়া - ১,০০,০০০ - ১,০০,০০০ টাকা

হোটেল রুম ভাড়া - ৬,০০০ - ৮,০০০ টাকা

সিম কার্ড - ২,০০০ টাকা

খাবার - ১৫,০০০ টাকা

এন্ট্রি টিকেট - ১৫,০০০ টাকা


সুতরাং, আপনার লন্ডন ভ্রমণ খরচ পড়বে জনপ্রতি প্রায় ৪,৫০,০০০ টাকার মতো।


পরিশেষে,


তো এই ছিলো লন্ডন ভ্রমণ নিয়ে বিস্তারিত। ঢাকা থেকে লন্ডন বিমান ভাড়া সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন flightexpert.com। ভিসা ও হোটেল সম্পর্কিত তথ্যের জন্য কল করুন +৮৮-০৯৬১৭-১১১-৮৮৮ নাম্বারে অথবা ইমেইলে যোগাযোগ করুন। 


ব্লগটি ভালো লাগলে ও আরো ব্লগ পড়তে চাইলে ভিজিট করুন আমাদের ব্লগ পেইজটি


Related Blogs:

 

কলকাতা ভ্রমণ গাইডঃ কিভাবে যাবেন ও কোথায় কোথায় ঘুরবেন

ঢাকা থেকে চেন্নাই এর সেরা হাসপাতাল-এ গিয়ে চিকিৎসা নিতে যা যা করা লাগবে

দিল্লী ভ্রমণ গাইডঃ কিভাবে যাবেন ও কোথায় কোথায় ঘুরবেন

বেঙ্গালুরু ভ্রমণঃ দর্শনীয় স্থান ও ভ্রমণ খরচ

সপরিবারে হায়দ্রাবাদ ভ্রমণঃ দর্শনীয় স্থান, ভ্রমণ খরচ ও অন্যান্য

মুম্বাই ভ্রমণঃ দর্শনীয় স্থান ও ভ্রমণ খরচ

কাশ্মীর এর শ্রীনগর ভ্রমণঃ দর্শনীয় স্থান ও ভ্রমণ খরচ

বাংলাদেশীদের জন্য নেপাল ভ্রমণ গাইডঃ ভ্রমণ খরচ ও দর্শনীয় স্থানসমূহ

By Rahat Muna

Thinker & Designer

Share This Post :