List of Best Hotels in Bangladesh
ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত মুম্বাইকে বলা হয় “সিটি অফ ড্রিমস” বা “স্বপ্নের শহর”। ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিগণের বাস মুম্বাই এ। হিন্দি সিনেমার বিখ্যাত সব অভিনেতা/অভিনেত্রীদের বাস ও এই শহরেই। ভারতের বিভিন্ন শহর থেকে নানান রকম মানুষ এসে মুম্বাইয়ে পাড়ি জমান নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে। মুম্বাই শহরের জাঁকজমকপূর্ণ আবহ চুম্বকের মতো আকর্ষন করে তাদের। পর্যটকদের কাছেও গন্তব্য হিসেবে মুম্বাই সবসময়ই প্রিয়।
এই ব্লগে থাকছে আপনার মুম্বাই ভ্রমণে দর্শনীয় স্থান, কিভাবে যাবেন, ইন্ডিয়ান ভিসা কিভাবে করাবেন, মুম্বাই গিয়ে কোথায় থাকবেন এবং সব মিলিয়ে খরচ কত পড়বে, ইত্যাদি বৃত্তান্ত।
তো, চলুন শুরু করা যাক।
মুম্বাইয়ের দর্শনীয় স্থানগুলো নিম্নরুপঃ
মুম্বাইয়ের অন্যতম সুন্দর একটি জায়গা মেরিন ড্রাইভ। লম্বায় ৩ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত মেরিন ড্রাইভের রাস্তার পাড়ে বসে সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে অলস সময় কাটাতে আসেন মুম্বাইয়ের স্থানীয়রা। হিন্দি সিনেমায় অহরহ দেখা যায় মনোরম মেরিন ড্রাইভের চিত্র। জায়গাটি রোমান্টিক জায়গা হিসেবে কাপলদের কাছেও অনেক জনপ্রিয়। মেরিন ড্রাইভের রাস্তাটি ইংরেজি সি অদ্যক্ষর এর মতো হওয়ায় একে “কুইন’স নেকলেস” ও বলা হয়। আরব সাগরের মিষ্টি হাওয়া খেতে খেতে দূরে নৌকা যাওয়া আসার দৃশ্য দেখতে ভালোই লাগবে।
মুম্বাইয়ের সবচেয়ে দামী এলাকা জুহু বীচ ও বান্দ্রা। ভারতের বেশিরভাগ বিলিওনিয়ার, প্রথম সারির মুভি স্টার, ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ীদের বাস এই এলাকাগুলোতে। জুহু বীচ ও বান্দ্রার বাংলো বাড়িগুলো মুম্বাই শহরের বাকি প্রপার্টি থেকে আলাদা কারণ এদিককার বাড়িগুলো সমুদ্রের দিকে মুখ করে এবং সমুদ্রপাড়ের স্থাপত্যশৈলী ফলো করে বানানো হয়। বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান, অমিতাভ বচ্চন, সালমান খান, আলিয়া ভাট, রনবীর কাপুর প্রমুখ এই এলাকাতেই থাকেন। প্রতি বছর নভেম্বরের ২ তারিখে শাহরুখ খানের বাসার সামনে হাজার হাজার ভক্ত জড়ো হন তাদের প্রিয় নায়ককে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে। এই সময়ে মুম্বাই গেলে আপনিও পেয়ে যাবেন প্রিয় তারকার দেখা।
পর্যটকদের কাছে মুম্বাই এর অন্যতম আকর্ষনীয় একটি দর্শনীয় স্থান এলিফেন্টা কেভস। এটি মুম্বাই শহর থেকে সামান্য দূরে সমুদ্রের মাঝখানে একটি দ্বীপে অবস্থিত। এখানে যেতে হলে আপনাকে প্রথমে ফেরীতে উঠতে হবে তারপর টয় ট্রেনে করে বা হেঁটে পৌঁছাতে হবে এলিফেন্টা কেভস এ। ঐতিহাসিক এই গুহাটিতে একসময় অনেক হাতি বাস করতো। সেখান থেকেই এর নামকরণ হয়। তাঁর আগে এটি ছিলো একটি মন্দির। ৬ষ্ঠ শতাব্দীর এই মন্দির/গুহার দেয়ালে দেয়ালে এখনো দেখা পাওয়া যায় অনেকগুলো ভাঙ্গা মূর্তির। ভারতের পুরাতত্ব সংরক্ষণ কেন্দ্রকে গুহাটি রক্ষণাবেক্ষণের দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
মুম্বাইয়ের বিখ্যাত গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া চেনেন না এমন মানুষ খুব কমই আছে। এটি মূলত একটি শোভাবর্ধক গেট হিসেবে নির্মিত হয়েছিলো ব্রিটেনের রাজা পঞ্চম জর্জের আগমন উপলক্ষে। ১৯১১ সালে নির্মিত বিশালাকার এই দরজাটি তাজ হোটেলের ঠিক অপরপাশে অবস্থিত। এখান দিয়েই প্রথম ব্রিটিশ রাজা এসেছিলেন আবার এখান দিয়েই ১৯৪৭ সালে দীর্ঘ স্বাধীনতা আন্দোলনের পর ব্রিটিশরা ২০০ বছরের শাসন শেষে হার মেনে চলে যায়। তাই গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া প্রতিকীভাবেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ২০০৮ সালের সন্ত্রাসী হামলা এই গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ার পাশে তাজ হোটেলে হয়েছিলো। এর আশেপাশের হোটেল ও দোকানগুলোতে গেলে এখনো গুলির দাগ দেখতে পাওয়া যায়।
দাদাসাহেব ফালকে চিত্রনগরী বা মুম্বাই ফিল্ম সিটি মুম্বাইয়ের এফডিসি। অর্থাৎ এখানে হিন্দী সিনেমার শ্যুটিং করা হয়। ৫২০ একর জায়গা নিয়ে গঠিত মুম্বাই ফিল্ম সিটিতেই শ্যুট হয়েছে আপনার প্রিয় সব বলিউড মুভি আর টিভি সিরিজ। তাই এ জায়গাটি কৌতুহলী পর্যটকে সবসময়ই ভরা থাকে। পর্যটকদের বাসে করে পুরো এলাকা ঘুরিয়ে দেখানো হয়। মাঝে মধ্যে বাস থেকে নেমে শ্যুটিং দেখতে দেয়া হয়। আর পুরোটা সময় একজন গাইড বেশ ইন্টারেস্টিং ভাবে বর্ণনা করেন কোন স্পটটিতে কোন সিনেমার বা সিরিজের কোন দৃশ্যটি শ্যুট হয়েছে। শ্যুটিং দেখার সময় ছবি তোলা ও ভিডিও করা থেকে বিরত থাকবেন।
মুম্বাই ভ্রমণে যেতে হলে আপনাকে অনলাইনে ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। ইন্ডিয়ান ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের কল করুন +৮৮-০৯৬১৭-১১১-৮৮৮ নাম্বারে অথবা ইমেইলে যোগাযোগ করুন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, এয়ার ইন্ডিয়া, ভিস্তারা, ইন্ডিগো এয়ার ও স্পাইসজেট এর বেশ কটি ফ্লাইট প্রতিদিন ঢাকা থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এই ফ্লাইটগুলোতে সাধারণত কলকাতা বা দিল্লির ট্রানজিট থাকে। ট্রানজিটের সময়ের পার্থক্যের ওপর নির্ভর করে বিমান ভাড়া। ঢাকা টু মুম্বাই বিমান ভাড়া ২০২২ ও ফ্লাইট শিডিউল সম্পর্কে জানতে ঘুরে আসুন ভিজিট করুন flightexpert.com। কমপক্ষে ১৫ দিন আগে টিকেট কাটলে ভাড়া অনেক কমে পাবেন।
ট্রানজিট ফ্লাইটে ঢাকা থেকে মুম্বাই পৌঁছাতে প্রায় ছয় ঘন্টা লাগে। কমপক্ষে ২ দিন সময় হাতে নিয়ে মুম্বাই ঘুরতে যেতে পারলে ভালো।
মুম্বাই এর সেরা হোটেলগুলো হচ্ছেঃ
পরিবার নিয়ে থাকার মতো মুম্বাইয়ের কিছু বাজেট হোটেল হচ্ছেঃ
Gateway Suites
Hotel Golden Tulipz
Hotel lime wood
Bohemian
The Ferreiras
মুম্বাই হোটেল সম্পর্কিত তথ্য ও বুকিং এর জন্য আমাদের কল করুন +৮৮-০৯৬১৭-১১১-৮৮৮ নাম্বারে অথবা আমাদের সাথে ইমেইলে যোগাযোগ করুন।
মুম্বাই ঘুরতে যাওয়ার আগে সব মিলিয়ে কত টাকা লাগতে পারে সে ব্যপারে ধারণা থাকা জরুরি। মুম্বাই ভ্রমণ খরচ নিম্নরুপঃ
রিটার্ন বিমান ভাড়া - জনপ্রতি ৩২,০০০- ৪০,০০০ টাকা (যত আগে টিকেট কাটবেন তত কমে পাবেন)
হোটেল রুম ভাড়া - প্রতি রাত ৫,০০০- ৬,০০০ টাকা
সিম কার্ড - ১,২০০ টাকা
খাবার - দিন প্রতি ১,৫০০ টাকা
সুতরাং, সব মিলিয়ে ৫ দিনের মুম্বাই ভ্রমণে যাতায়াত খরচ ও প্রবেশ ফি বাদে আপনার মোট খরচ হতে পারে প্রায় ৭০,০০০-৮০,০০০ টাকা। হোটেল রুম ও খাবার খরচে সাশ্রয়ী হলে খরচ আরো অনেক কমানো সম্ভব।
তো এই ছিলো মুম্বাই ভ্রমণ নিয়ে বিস্তারিত। ঢাকা থেকে মুম্বাই বিমান ভাড়া কত জানতে ভিজিট করুন flightexpert.com। ইন্ডিয়ান ভিসা ও মুম্বাই হোটেল সম্পর্কিত তথ্যের জন্য কল করুন +৮৮-০৯৬১৭-১১১-৮৮৮ নাম্বারে অথবা ইমেইলে যোগাযোগ করুন।
ব্লগটি ভালো লাগলে ও আরো ব্লগ পড়তে চাইলে ভিজিট করুন আমাদের ব্লগ পেইজটি।
আমাদের ভারত ভ্রমণ রিলেটেড অন্যান্য ব্লগগুলোঃ
কলকাতা ভ্রমণ গাইডঃ কিভাবে যাবেন ও কোথায় কোথায় ঘুরবেন
ঢাকা থেকে চেন্নাই এর সেরা হাসপাতাল-এ গিয়ে চিকিৎসা নিতে যা যা করা লাগবে
দিল্লী ভ্রমণ গাইডঃ কিভাবে যাবেন ও কোথায় কোথায় ঘুরবেন
বেঙ্গালুরু ভ্রমণঃ দর্শনীয় স্থান ও ভ্রমণ খরচ
সপরিবারে হায়দ্রাবাদ ভ্রমণঃ দর্শনীয় স্থান, ভ্রমণ খরচ ও অন্যান্য
List of Best Hotels in Bangladesh
List of Best Hotels in Bangladesh
List of Best Hotels in Bangladesh
Biman Bangladesh Airlines – 12 Reasons to fly with Biman
By Rahat Muna
July 26, 2022
Thinker & Designer