List of Best Hotels in Bangladesh
ওমরাহ্ ইসলামের শুদ্ধতম ইবাদতগুলোর মধ্যে একটি। প্রতি বছর পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য মুসলিম ওমরাহ্ পালন করতে মক্কায় পাড়ি জমায়। ওমরাহ্ পালনের ক্ষেত্রে অনেকেই সন্দিহান থাকেন কীভাবে কী করবেন- এই ভেবে। এখানে ওমরাহ্ এর মূল বিষয়গুলোর ওপর সহজভাবে আলোকপাত করা হলো।
ওমরাহ্ পালনের ক্ষেত্রে মূলত ৪টি বিষয় মাথায় রাখতে হয়। এগুলো হলোঃ
১। ইহরাম বাঁধা (ফরজ)
২। তাওয়াফ করা (ফরজ)
৩। সা’ঈ করা (ওয়াজিব)
৪। মাথা মুণ্ডানো (ওয়াজিব)
১। ইহরাম বাঁধা
ইহরামের অর্থ হারাম বা নিষিদ্ধ করা। মূলত হজ্জ্ব বা ওমরাহ্ এর নিয়ত করে তালবিয়্যাহ পড়ার এই নিয়মকেই বলে ইহরাম। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লোকদের ইহরাম (পুরুষদের জন্য সাদা দুটি চাদর ও মহিলাদের জন্য পছন্দমতো) বাঁধার জন্য আলাদা আলাদা স্থান আছে। বাংলাদেশীদের জন্য মীকাত থেকে ইহরাম বাঁধার নিয়ম। ইহরাম ছাড়া মিকাত অতিক্রম করা নিষেধ। বাংলাদেশী হাজীরা সাধারণতঃ হাজী ক্যাম্প হতে ইহরাম বেধে আসেন। জেদ্দা বিমান বন্দরের বাহির গেটের সামনে মসজিদ আছে সেখানে ইহরাম বাধার জন্য গোসলসহ সকল সুযোগ সুবিধা রয়েছে।
ইহরামের কাপড় পরিধান করে ২ রাকাত ইহরামের সুন্নত নামাজ আদায় করুন। নামাজের পরপরই জায়নামাজে বসেই ওমরাহ এর নিয়ত করা ভাল।
নিয়তঃ হে আল্লাহ, আমি ওমরাহ্ করার জন্য নিয়ত করিলাম। ইহা তুমি আমার জন্য সহজ করে দাও এবং কবুল কর অথবা লাব্বাইকা ওমরাহ্)। এবং নিয়ত করার পরপরই তালাবিয়া পাঠ করা (তালাবিয়াহ –লাব্বায়িক আল্লাহুমা লাব্বায়িক, লাব্বায়িক লা–শারীকা লাকা লাব্বায়িক, ইন্নাল হামদা, ওয়ান নি মাতা লাকা ওয়াল মুল্ক) অর্থঃ হে আল্লাহ, আমি হাজির, হে আল্লাহ্ আমি হাজির, কোন শরীক নেই তোমার, আমি হাজির। নিশ্চয়ই সকল প্রশংসা ও নিয়ামত তোমারই, আর সকল সাম্রাজ্য তোমার, তোমার কোন শরীক নাই ।
নিয়ত করার পর থেকেই তাওয়াফ আরম্ভ করার পূর্ব পর্যন্ত বেশি বেশি তালাবিয়া পাঠ করুন।
২। তাওয়াফ করা
কাবা শরীফের চর্তুরদিকের তাওয়াফ করার স্থানকে মাতাফ বলে। পুরুষদের জন্য তাওয়াফ করার পূর্বে গগায়ের চাদরখানার মধ্যভাগ ডান বগলের নিচ দিয়ে চাদরের দুই কিনারা বাম কাঁধের উপর ফেলতে হয় একে ইজতিবা বলে।
হাজারে আসওয়াদ হতে ডান দিকে প্রদক্ষিণ শুরু করে হাতীমসহ কা’বা ঘরের চারদিক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় হাজারে আসওয়াদ পর্যন্ত পৌঁছলে তাওয়াফের এক চক্কর বা একবার প্রদক্ষিণ করা হয়৷ এভাবে সাতবার প্রদক্ষিণ করলে এক তাওয়াফ সম্পূর্ণ হয়৷ তাই এক তাওয়াফের জন্য সাতবার প্রদক্ষিণ করতে হয়৷
৩। সা’ঈ করা
সাঈ শব্দের অর্থ দৌঁড়ান, চেষ্টা করা৷ হজ্জের অধ্যায়ে সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মধ্যবর্তী স্থানে সাতবার দৌঁড়ানোকে সাঈ বলা হয়৷ বর্তমানে এই স্থানটুকুর কিছু অংশ সবুজ বাতি দ্বারা চিহ্নিত আছে৷ সেখানে এসে দ্রুত দৌঁড়াতে হয়৷ সাঈ করা ওয়াজিব এবং তাওয়াফ শেষ করার সাথে সাথেই এটা করা সুন্নাত৷
৪। ক্বাসার/ হালাক্ব
এভাবে সাঈ সমাধা করার পর মাথামুন্ডন করে বা চুল ছেঁটে উমরাহ পালনকারীকে ইহরাম খুলে ফেলতে হবে৷ একে ক্বাসার বলে। এর মাধ্যমেই ওমরাহ্ এর সকল প্রাসঙ্গিক অনুশীলনের সমাপ্তি ঘটে।
তবে এর পর চাইলে আপনি মদিনায় যেতে পারেন।
ওমরাহ্ পালন অবস্থায় কিছু প্রয়োজনীয় পরামর্শঃ
ওমরাহ্ পালনে যা যা করবেন নাঃ
List of Best Hotels in Bangladesh
List of Best Hotels in Bangladesh
List of Best Hotels in Bangladesh
Biman Bangladesh Airlines – 12 Reasons to fly with Biman
By Rahat Muna
July 26, 2022
Thinker & Designer