List of Best Hotels in Bangladesh
নীলফামারী জেলার অন্তর্গত সৈয়দপুর বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি অতি প্রাচীন এবং প্রসিদ্ধ থানা শহর। কথিত আছে যে ভারত বর্ষের কুচ বিহার থেকে আগত মুসলিম সাইয়্যেদ পরিবার এখানে এসে বসবাস করা শুরু করেন এবং সেখান থেকেই এর নাম সৈয়দপুর হয়। ১৯১৫ সালে এই থানা শহরটি প্রতিষ্ঠিত হয়। থানা শহর হলেও সৈয়দপুর এর গুরুত্ব অনেক জেলা শহরের চাইতে কোন অংশে কম না।
সাধারণ অন্যান্য থানা শহর থেকে সৈয়দপুর একটু ব্যাতিক্রম। এখানকার বেশিরভাগ মানুষজন শহর এলাকায় বসবাস করে। সৈয়দপুরের সবচাইতে বিখ্যাত স্থাপনা হল এর রেলওয়ে কারখানা। মুলত ১৮৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কারখানাকেই কেন্দ্রও করে এখানে লোকালয় গড়ে উঠে। এখানকার অধিবাসীদের অধিকাংশই বিভিন্ন ব্যাবসা ও শিল্প কারখানা গুলোর সাথে জড়িত। এখানে একটি বিসিক শিল্প এস্টেট স্থাপিত হয়েছে যার পুরোটাই শিল্প কারখানা দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে। এছাড়া শহরে একটি সেনানিবাস, একটি বিমান বন্দর, ও দেশের একমাত্র ই.এম.ই সেন্টার ও স্কুল আছে।
অবস্থানের কারণে ব্যাবসায়িক দিক থেকে সৈয়দপুরের বেশ শক্তিশালী অবস্থানে আছে। মালপত্র বা যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে সৈয়দপুরের অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বৃহত্তর রংপুর এবং দিনাজপুর সহ মোট ৮টি জেলার করিডোর বা নার্ভ সেন্টারে সৈয়দপুরের অবস্থান। এ সমস্ত জেলা গুলো দিয়েই প্রধানত ভারত থেকে আমদানিকৃত মালামাল পরিবহন করা হয়। সুতরাং সৈয়দপুর এর গুরুত্ব সহজেই বোঝা যাচ্ছে।এ সমস্ত ব্যাবসার কাজে জড়িত ব্যাবসায়ি, ক্রেতা, কারখানা মালিক সহ বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষকে প্রতিনিয়ত ঢাকা সৈয়দপুর রুটে চলাচল করতেই হয়। এজন্যে ঢাকা সৈয়দপুর রুটটিকে বিভিন্ন পরিবহন সংস্থা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথেই বিবেচনা করে থাকেন।
ঢাকা থেকে সৈয়দপুর যাবার একাধিক উপায় রয়েছে। সড়ক, রেল এবং আকাশপথ, এই তিন ভাবেই আপনি ঢাকা থেকে সৈয়দপুর যেতে পারবেন।
ঢাকা সৈয়দপুর রুট – সড়ক পথ
ঢাকা সৈয়দপুর রুটকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। এজন্য প্রায় সব প্রধান অপারেটরই ঢাকা সৈয়দপুর বাস সার্ভিস রেখেছেন। ঢাকা থেকে সৈয়দপুর এর দূরত্ব প্রায় ৩৪৮ কিলোমিটার। ঢাকা সৈয়দপুর রুটের কিছু বাস দিনাজপুর হয়ে সৈয়দপুর পৌছায়। আবার কিছু বাস রংপুর হয়ে প্রবেশ করে। এই লম্বা দূরত্ব অতিক্রম করতে গড়ে ৯-১১ ঘণ্টা লেগে যায়। আর বিশেষ উপলক্ষ যেমন ঈদ, পুজা এসবে ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় ট্রাফিক জ্যামের সৃষ্টি হয়। সেক্ষেত্রে ১৫-১৬ ঘণ্টা বা তার বেশী সময় লেগে যেতে পারে।
ঢাকা সৈয়দপুর রুট- রেলপথ
ঢাকা সৈয়দপুর রুটে ইচ্ছা করলে ট্রেনেও ভ্রমণ করতে পারবেন। সুন্দরবন এক্সপ্রেস, বরেন্দ্র এক্সপ্রেস, রূপসা এক্সপ্রেস, নীল সাগর এক্সপ্রেস সহ বিভিন্ন ট্রেন ঢাকা সৈয়দপুর রুটে চলাচল করে। এর মধ্যে একমাত্র নীল সাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি সরাসরি ঢাকা সৈয়দপুর রুটে যাওয়া আসা করে থাকে। ট্রেনে ঢাকা সৈয়দপুর ভ্রমণ শেষ করতে আপনার ৯-১০ ঘণ্টার মত সময় লাগবে। রেল পথে ট্রাফিক জ্যামের ভয় নেই তবে ঢাকা সৈয়দপুর রুটে বেশ কিছু বড় রেল স্টেশন বা জংশন পরে। সেখানে বেশ কিছু সময়ের জন্য ট্রেনগুলোকে দাড়াতে হয়।
ঢাকা সৈয়দপুর রুট- আকাশপথ
বাংলাদেশের বিমান সংস্থারাও ঢাকা সৈয়দপুর রুটকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। যে কারণে আমরা দেখতে পাই যে বাংলাদেশ বিমান সহ সব কয়টি বিমান সংস্থাই ঢাকা সৈয়দপুর রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এই রুটে আকাশ পথে ভ্রমণ ইতিমিধ্যে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
এর প্রধান কারন হিসেবে কম ভ্রমণ কালীন সময়কেই দেখা হচ্ছে। স্বাভাবিক অবস্থাতেই বাস বা ট্রেনে প্রায় সারাদিন লেগে যাচ্ছে ঢাকা সৈয়দপুর ভ্রমণ শেষ করতে। অন্যদিকে আকাশ পথে ঢাকা থেকে সৈয়দপুর পৌছাতে সময় লাগছে মাত্র ৫৯ মিনিট! বিমানগুলো ঢাকার হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে উড্ডয়ন করে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে আপনাকে পৌঁছে দিবে এক ঘণ্টা বা তারও কম সময়ের মধ্যে!
বাংলাদেশী বিমান সংস্থা গুলোর কাছে সৈয়দপুর একটি জনপ্রিয় নাম। প্রতিটি বিমান সংস্থাই ঢাকা সৈয়দপুর রুটে একাধিক ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকেন। বর্তমানে বাংলাদেশের যেসব বিমান সংস্থা ঢাকা সৈয়দপুর রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে তারা হলঃ
কোন এয়ারলাইন্স সপ্তাহের কোন দিনে কয়টি ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে তা বুঝার জন্যে আপনাদের সুবিধার্থে একটি চার্ট তৈরি করে দিলাম।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ যেকোন জরুরী অবস্থা যেমন খারাপ আবহাওয়া অথবা রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি থাকলে সেক্ষেত্রে বিমান সংস্থার তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্তে ফ্লাইট সংখ্যার পরিবর্তন হতে পারে। এর জন্য ফ্লাইট এক্সপার্ট কোন ভাবেই দায়ী না।
আপনার ভ্রমণের নির্দিষ্ট তারিখে কয়টি ফ্লাইট পাবেন এবং সেগুলোর সময় জানতে সহজেই ফ্লাইট সার্চ করে নিতে পারেন এই ওয়েবসাইট থেকেঃ https://www.flightexpert.com
কোন প্রশ্ন থাকলে ফোন করুনঃ +৮৮-০৯৬১৭-১১১-৮৮৮
যোগাযোগের ঠিকানাঃ
৯০/১ মতিঝিল সিটি সেন্টার
লেভেল ২৫ – বি -১, (লিফটের ২৬ তলা )
ঢাকা – ১০০০, বাংলাদেশ।
এর মধ্যে বাংলাদেশ বিমান ব্যাতিত অন্যান্য সব বিমান সংস্থাই ঢাকা সৈয়দপুর রুটে প্রতিদিন একাধিক ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এর মধ্যে নভোএয়ার এবং ইউ এস বাংলা এয়ারাইন্স প্রতিদিন চারটি করে ঢাকা সৈয়দপুর ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এছাড়া রিজেন্ট এয়ারওয়েজ প্রতিদিন ২ টি করে ও বাংলাদেশ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ১ টি করে ঢাকা থেকে সৈয়দপুর ফ্লাইট পরিচালনা করছে। প্রতিদিন ঢাকা থেকে সৈয়দপুর রুটে সর্বমোট ১১ টি ফ্লাইট পরিচালিত হয়।
এখানে বিশেষ ভাবে বলে রাখা প্রয়োজন যে অন্য যেকোন ফ্লাইটের মত ঢাকা সৈয়দপুর ফ্লাইটও পরিবর্তনশীল। আবহাওয়া বা অন্য যেকোন কারণে ফ্লাইট সংখ্যা পরিবর্তিত হলে সেটা সম্পূর্ণ ভাবে বিমান সংস্থার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হবে।
একটা সময় ছিল যখন অনেক গন্তব্যেই বিমানে যাওয়া যেত না। আবার ভাড়াটাও ছিল নাগালের বাইরে। এজন্যে বিমান যাত্রীর সংখ্যাও অনেক কমই ছিল। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে বেশ কিছু ভাল বিমান সংস্থা তাদের সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছেন। একাধিক এয়ারলাইন্স থাকার কারণে ভাড়াও যেমন কমেছে, যাত্রী সেবার মানও উন্নত হয়েছে।
আমাদের আধুনিক জীবন অনেক দ্রুত। এখন সচেতন মানুষ অন্য যেকোন কিছুর চাইতে সময়কে বেশী মূল্য দিয়ে থাকে। যেকোন উপায়ে তারা চায় সময় বাচাতে। এজন্য আকাশপথে ভ্রমণই সবচাইতে ভাল উপায়। এছাড়া ফ্লাইট এক্সপার্টের মত অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি বিভিন্ন সময় আরও বাড়তি ডিসকাউন্টও দিচ্ছে। ফলে তুলনামুলক ভাবে কমে আসছে ভ্রমণ খরচ।
বিমান ভাড়া সর্বদাই পরিবর্তনশীল। ঢাকা থেকে সৈয়দপুর বিমান ভাড়াও এর ব্যাতিক্রম না। ভ্রমনের তারিখ অনুযায়ী ভাড়া পরিবর্তিত হতে পারে। সেক্ষেত্রে ভাড়া কিছুটা কমে যায় অথবা বেড়ে যায়। তবে পার্থক্যটা সাধারণত খুব বেশী হয় না।
ঢাকা টু সৈয়দপুর রুটও এর ব্যাতিক্রম না। আমরা চেষ্টা করেছি ঢাকা থেকে সৈয়দপুর রুটের সবগুলো এয়ারলাইন্সের ভাড়ার একটি তুলনামূলক লিস্ট** তৈরি করতে। ভাড়া সংক্রান্ত তথ্য গুলো সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থার ওয়েবসাইট থেকে নেয়া হয়েছে । তথ্যের কোন পরিবর্তনের জন্যও সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থা দায়ি থাকবে।
** তালিকাটি পরিবর্তিত হতে পারে এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। আমরা তালিকাটি তৈরি করেছি ঢাকা টু সৈয়দপুর রুটের বিমান ভাড়া সম্পর্কে আমাদের পাঠকদের একটি সম্যক ধারানা দেবার জন্য।
আভ্যান্তরিন বিমান ভ্রমণের জন্য পাসপোর্টের প্রয়োজন হবে না। তাই বিমান ভ্রমণের আলাদা কোন ঝামেলা নেই বললেই চলে। নিরাপত্তার খাতিরে শুধু আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রটি হলেই চলবে।
আপনার পছন্দের বিমান অফিস থেকে ঢাকা থেকে সৈয়দপুর বিমান টিকিট করে নিতে পারবেন। ওয়েবসাইটগুলো থেকেও টিকিট করতে পারেন। যারা ডিসকাউন্ট পছন্দ করেন, তারা ট্রাভেল এজেন্সি থেকে টিকিট নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে কিছু ডিসকাউন্টও পেয়ে যেতে পারেন। বাংলাদেশের অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি গুলোর মধ্যে ফ্লাইট এক্সপার্ট বেশ স্বনামধন্য। এখান থেকে যেকোন বিমানের টিকিট করে নিতে পারবেন ঘরে বসেই।
এদের ওয়েবসাইট ঠিকানাঃ https://www.flightexpert.com/
এছাড়া এরা ভ্রমণ সম্পর্কিত যেকোন প্রশ্নের জন্যও তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন এই নম্বরেঃ ০৯৬১৭-১১১-৮৮৮
নিয়ম অনুযায়ী ইকোনমি যাত্রীরা প্রত্যেকে ২০ কেজি পরিমান চেক কৃত মালামাল বহন করতে পারবেন। তাছাড়া কেবিন লাগেজ হিসেবে ৭ কেজি মাল বহন করা যাবে। বিজনেস ক্লাসের যাত্রীরা ৩০ কেজি চেক কৃত মালামাল এবং ৭ কেজি কেবিন লাগেজ বহন করতে পারবেন। এর চাইতে বেশী লাগেজ পরিবহন করতে চাইলে অতিরিক্ত ফি দিতে হবে। এই ফি সম্পর্কে জানার জন্যে আপনার নির্দিষ্ট এয়ারলাইন্সের সাথে যোগাযোগ করুন।
বিমানে মালামাল পরিবহনের সিমাবদ্ধতা ও নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে আরও তথ্য পেতে চাইলে আমাদের এই ব্লগ পোস্টটি পড়ে দেখতে পারেনঃ https://www.flightexpert.com/blog/baggage-rules-for-air-travelers
পরিশেষে আপনার নিরাপদ ঢাকা থেকে সৈয়দপুর ভ্রমণ কামনা করছি। আপনার কোন সমস্যা বা জিজ্ঞাস্য থাকলে আমাদের ব্লগে অথবা ফেসবুক পোস্টে কমেন্ট করতে পারেন। আমরা যথাসাধ্য সাহায্য করবো উত্তর দিয়ে সহযোগিতা করার।
List of Best Hotels in Bangladesh
List of Best Hotels in Bangladesh
List of Best Hotels in Bangladesh
Biman Bangladesh Airlines – 12 Reasons to fly with Biman
By Rahat Muna
July 26, 2022
Thinker & Designer